যতই দিন যাচ্ছে ততই ইন্টারনেটের ব্যাবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে সাধারন ব্যাবসা-বাণিজ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি অনলাইন ভিত্তিক E-commerce বা ই-বাণিজ্যর ব্যাপক প্রসার ঘটছে। আমরা যারা প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি তাদের কাছে ‘ব্যান্ডউইথ’ (Bandwidth) শব্দটি অনেক পরিচিত বিষয়। তাই আজকের পোস্টে আমরা “ হোস্টিং ব্যান্ডউইথ কি এবং কতটুকু হোস্টিং ব্যান্ডউইথ নেওয়া উচিৎ?” নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
Table of Contents
- হোস্টিং ব্যান্ডউইথ কি?
- কতটুকু হোস্টিং ব্যান্ডউইথ নেওয়া উচিৎ:
- পরিশেষে
হোস্টিং ব্যান্ডউইথ কি?
কম্পিউটার প্রযুক্তিতে ব্যান্ডউইথ (Bandwidth) বলতে প্রতি সেকেন্ডে বা প্রতি একক সময়ে নির্ধারিত ডাটা (Data) স্থানান্তরের হারকে বুঝায়। সাধারণত, এই ব্যান্ডউইথ এর হিসাব করা হয় BPS (বিট পার সেকেন্ড) হিসাবে। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে কত বিট ডাটা ট্রান্সফার হচ্ছে তার পরিমান হলো ব্যান্ডউইথ।
আর হোস্টিং ব্যান্ডউইথ হচ্ছে কোন একটি সার্ভার থেকে প্রত্যেক ইউজারের (যিনি আপনার সাইটটি ব্রাউজ করবে) কম্পিউটারে প্রতি সেকেন্ডে বা প্রতি একক সময়ে কতটুকু পরিমান ডাটা ট্রান্সফার হবে।
যদি আপনার ওয়েবসাইটটি অনেক পপুলার হয়ে থাকে এবং প্রতিদিন হাজার হাজার অথবা মাসে লাখ লাখ ভিজিটর উক্ত সাইটটি ভিজিট করে। তাহলে সাধারণ ভাবেই আপনার অনেক ব্যান্ডউইথ লাগবে। এক্ষেত্রে আপনি যদি অল্প পরিমান ব্যান্ডউইথ প্যাকেজ ব্যবহার করেন তাহলে দেখা যাবে যে মাসের মাঝখানে আপনার ওয়েবসাইটটি ড্যামেজ (Damage) হয়ে যাবে। তাই হোস্টিং প্রোভাইডারদের কাছ থেকে আপনার পছন্দের হোস্টিং প্যাকেজে কি পরিমান বা কতটুকু হোস্টিং ব্যান্ডউইথ নিবেন তা আগে থেকেই হিসাব বা নির্ধারণ করে নেওয়া উচিত। চলুন নিচে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক……
কতটুকু হোস্টিং ব্যান্ডউইথ নেওয়া উচিৎ:
সাধারণত, সকল ডোমেইন ও হোস্টিং কোম্পানি গুলো তাদের নির্ধারিত প্রতিটি হোস্টিং প্যাকেজের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যান্ডউইথ দিয়ে থাকেন। যেমন: 30 GB Bandwidth, 60 GB Bandwidth, 120 GB Bandwidth ইত্যাদি। তবে হোস্টিং স্পেসের উপর নির্ভর করে ব্যান্ডউইথ এর পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে। এখন আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কতুটুকু ব্যান্ডউইথ দরকার তা হিসেব করে যে কোন একটি হোস্টিং প্যাকেজটি কিনে নিবেন। আপনার বোঝার সুবিধার জন্য নিচে একটি হিসাব করে দেখানো হলো। যাতে করে, উক্ত ব্যান্ডউইথ হিসাবটি আপনিও খুব সহজে করতে পারেন।
উদাহরনস্বরূপ, আপনার ওয়েবসাইটিতে ৫ টি ওয়েবপেজ রয়েছে এবং প্রতিটি ওয়েবপেজের সাইজ ১০০ KB (কিলোবাইট)। এখন ধরা যাক, প্রতিদিন ৫০০ জন ভিজিটর গড়ে ৫টি করে পেজ ভিজিট করে । তাহলে মোট ব্যান্ডউইথ দরকার হবে (৫০০ ভিজিটর × ৫ ওয়েবপেজ × ওয়েবপেজের সাইজ ১০০ KB) টোটাল = ২,৫০,০০০ KB (কিলোবাইট) বা ২৪৪.১৪ MB (মেগাবাইট)। এছাড়া আপনার সাইটটিতে যদি প্রতিদিন কন্টেন্ট আপডেট করতে থাকেন অথবা যে কোন সার্ভিস প্রদান করে থাকলে অবশ্যই ভিজিটর বাড়তে থাকবে। তাই শুরুতেই আপনাকে আনুপাতিক হিসাবের চেয়ে একটু বেশি পরিমাণ ব্যান্ডউইট কিনতে হবে।
উল্লেখ্য যে, ভবিষ্যতে কোন কারনে যদি আরো বেশি ব্যান্ডউইথের প্রয়োজন হয় তাহলে কত টাকা মূল্য পরিশোধ করতে হবে সেটা আগে থেকেই জেনে নিবেন। তাছাড়া অনেক কোম্পানি পরে সুযোগ বুঝে দামটা বেশি নিয়ে থাকে। যদিও আজকাল অনেক ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি আনলিমিটেড ব্যান্ডউইথ দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে তাদের সার্ভারের Maximum Bandwidth Capacity এবং Loading Speed সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
পরিশেষে
আশাকরি উপরের সার্বিক আলোচনা হতে আপনি হোস্টিং ব্যান্ডউইথ কি এবং কতটুকু হোস্টিং ব্যান্ডউইথ নেওয়া উচিৎ? সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না । আর এ বিষয় নিয়ে আপনার মনে যদি কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থেকে থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
0 Comments